ধর্মদ্রোহীর মুখোশ খসে পড়ুক

এস. ডাব্লিউ. রহমান শিতল

বলো না ধর্ম, যদি হয় তা বণিকের ঝুলি,
যেখানে ঈমান বিকোয় — দরকষাকষির বুলি।
মিম্বরে দাঁড়িয়ে সে পুঁথির ফেরিওয়ালা,
কিন্তু তার হৃদয়ে নেই কোরানের আলো, নেই আল্লাহর ডালা।

যে বলেছিল — “ইকরা!” — সে তো জ্ঞানের দীপ্তি,
তোমরা বানালে তা আজ ভয়াল মোহের সিঁড়ি।
তোমরা কোরানকে করেছ গলাদণ্ড,
যার তলে চাপা পড়ে প্রশ্ন, জ্বলে না আর বিবেকের কাণ্ড!

নামধারী দরবেশ, আসলে তারা শাসকের দালাল,
আল্লাহর নামে তারা শুধুই মুনাফার খেয়াল!
তাদের রোজগারে বেহেশত বিক্রী হয় কিস্তিতে,
আর জাহান্নামের ভয় ঝুলে থাকে ফতোয়ার দস্তাবেজে।

তারা বলে — “প্রশ্ন হারাম”,
আমি বলি — তোমাদের মুখেই লুকানো চরম ইসলামের পরাজয়-বার্তা!
আল্লাহ তো বলেন — “তাফাক্কুর করো, তাদাব্বুর করো”,
তোমরা চাও — “চোখ বুঁজে থেকো, অন্ধ আনুগত্যে মরো!”

ওহে জাতি, শোনো আজ,
তোমাদের ঈমান ছিনিয়ে নিচ্ছে পাঞ্জাবির আড়ালে এক গুহ্য-রাজ।
তারা পুঁজি করে তোমার ভয়,
তোমার মৃত্যু, কবর, জান্নাত, হুরের অলীক পরিচয়।

তারা ব্যবসায়ী — হাদীসের, দোয়ার, রুকিয়ার,
তারা ইসলাম নয় — তারা হল ইবলিসের পাণ্ডুলিপির অন্ধ পৃষ্ঠার ব্যাখ্যাকার।

আমি বলি — এই ধর্ম নয়, এ এক কারাগার,
যেখানে বুদ্ধি নিঃশ্বাস নেয় না,
যেখানে প্রশ্ন বাঁচে না,
যেখানে সত্য খুঁজে পায় না মুক্তির কোনো দ্বার।

আমি বলি — উত্থিত হও,
জ্ঞান দিয়ে, যুক্তি দিয়ে, কোরান হাতে কণ্ঠ তুলো।
তোমার আল্লাহ তো মুক্তির দিশারী,
তবে কেন বানাও মানুষকে তার খলিফার নামে কারাগারপারি?

আজ এই ভূমিতে চাই কোরানিক ইন্তিফাদা,
চাই বিদ্রোহ — মিম্বার-চোরদের বিরুদ্ধে,
যারা আল্লাহর নামে মিথ্যার বাহক,
আর ঈমানের নামে বানায় ধর্মীয় কুফরি বাক্য।

“আল্লাহর কালাম যথেষ্ট — ভণ্ডদের বয়ান নয়!”

“ইসলাম মুক্তির ধর্ম — ভয় আর ব্যবসার নয়!”
“কোরান পড়ো, বুঝো, জেগে ওঠো — গোলামি ভাঙো!”